নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় দেশে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সিলেটে ও সুনামগঞ্জে নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি ধীরগতিতে নামছে। আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ নিজ বাসাবাড়িতে ফিরছেন বন্যাদুর্গত লোকজন। তবে বন্যার পানি নামলেও দুর্ভোগ কমেনি। পানিবাহিত নানা রোগ বাড়ছে।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও কাজে ফিরতে পারছেন না সেখানকার নিম্নআয়ের মানুষ। ঠিকমতো ত্রাণ না পাওয়ায় অনেককে শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। দোয়ারাবাজারের দক্ষিণ বড়বন এলাকার আলীবুন বেগম বলেন, ‘ঘরে হাঁটু পানি ছিল। এখন কমেছে। ৫ জনের সংসার। ত্রাণ পাচ্ছি না। নিরুপায় হয়ে আছি।’

একই উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভুজনা গ্রামের হোসনা বেগম বলেন, ‘ত্রাণ পাইনি। পানিবন্দি ছিলাম। কেউ খোঁজও নেননি।’ কালিকাপুর গ্রামের সাচনা বেগম বলেন, ‘স্বামী নাই, আয়-উপার্জনের মতো উপযুক্ত সন্তানও নাই। অসহায় অবস্থায় ঘরবন্দি আছি। ত্রাণ পাইনি।’

মৌলভীবাজার জেলার মনূ ও ধলাই নদ-এ পানি কমেছে। ঘরবাড়ি থেকে পুরোপুরি পানি নেমে না যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে ওয়াপধা সড়কে। হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি কমলেও হাওড়ের পানি না কমায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলায় ৫৪টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে।

এদিকে, নেত্রকোনা, জামালপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের নদীগুলোতে পানি কমেছে। তবে বন্যা পরিস্থিতিরি উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ।