দু’দফা বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে থেমে থেমে বৃষ্টি। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের। পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায়  মৌলভীবাজারে দীর্ঘায়িত হচ্ছে বন্যা। বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে স্যানিটেশন, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। কুড়িগ্রামে আবারও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ সব ক’টি নদ-নদীর পানি।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি এখনো সামলে উঠতে পারেনি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সিলেট। এরিমধ্যে আবারো থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। ফলে নদ-নদীতে পানি বেড়ে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থায় রয়েছে অমলাশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি। আগামী কয়েকদিন সিলেটে বৃষ্টি হতে পারে বলে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের।

সুনামগঞ্জেও আবারো ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল থেকে জেলার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বেড়েছে হাওরেও। সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার কয়েকটি এলাকা ফের প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল এখনো জলমগ্ন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় বন্যায় ভোগান্তিতে পড়েছে পানিবন্দি মানুষেরা। পাহাড়ী ঢল ও থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায়, দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে এখানকার বন্যা। দুর্গত এলাকায় স্যানিটেশন, শিশু খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানালেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী।

নেত্রকোণায় বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ধীরে ধীরে পানি নামছে। তবে দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট রয়েছে। পানি কমতে থাকায় ভেসে উঠেছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। কুড়িগ্রামে আবারও বাড়ছে নদ-নদীর পানি। ফলে এই জেলার নিম্নাঞ্চলে ফের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নিতি হয়েছে জামালপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটসহ আশপাশের জেলাগুলোতে।