অসহ্য তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। শ্রাবণের শুরু হলেও বৃষ্টির দেখা নেই। এ সময় আকাশজুড়ে থাকার কথা ঘন কালো মেঘ। মুষলধারার বৃষ্টিতে শীতল হওয়ার কথা প্রাণ-প্রকৃতি। কিন্তু ঋতুচক্রের এ নিয়ম ভেঙে শ্রাবণের আকাশ এখন শরতের মতো শুভ্র মেঘের ওড়াওড়ি।

কাঠফাটা রোদে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন। অসহ্য তাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে কর্মজীবী মানুষদের। ঘরে বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই। বিশেষ করে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের জীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সকালে সূর্য উঠার সাথে সাথে প্রখর রোদের তাপে রিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাঁপিয়ে পড়ে। দু’একটা ক্ষেপ মারার পর তাদের শরীরে আর শক্তি থাকে না। গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে বাধ্য হয় তারা। আগে দিনে যেখানে হাজার টাকা রোজগার করতে পারত, সেখানে এখন পাঁচশ’ টাকা আয় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, এতো গরম, এত কষ্ট সহ্য করাও দায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে এবারের তাপদাহ গত কয়েক বছরের চেয়ে বেশি। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ তৈরি না হওয়ায় বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে অতিরিক্ত গরম অনুভুত হচ্ছে।

চলতি জুলাই মাসের বিশ তারিখে পর থেকে বৃষ্টি নেমে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হবে বলে আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন।

এমন সময়ে বেশি প্রয়োজন না থাকলে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ রয়েছে চিকিৎসকদের।