দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উৎপাদন বন্ধ রেখেছে খনি কর্তৃপক্ষ। খনির ৫০ জন চীনা শ্রমিকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় শনিবার (৩০শে জুলাই) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২৭ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে নতুন কূপে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ। খনিতে ৩০০ জন চীনা ও ৪০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক অবস্থান করছিল। এদের মধ্যে ২৬ জুলাই ১৪৩ জন শ্রমিকের রেনডোম পরীক্ষা করা হয়। ১৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। পরে ২৮ জুলাই ২৯২ জন চীনা ও বাংলাদেশি ১৩ শ্রমিকের করোনার নমুনা নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৩৪ জন চীনা ও দুজন বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ২০ দিন আগে কয়লা থেকে প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করেছি। সাধারণ প্রথম সাত দিন প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলন করা হয়। পরে তা চূড়ান্তভাবে কয়লা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খনিতে যারা করোনা আক্রান্ত হয়নি, তাদের দিয়ে খনির প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলনের কুপের উন্নয়ন কাজ করানো হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল খনির ১৩১০ নং ফেজের মজুত শেষ হওয়ায় সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিত্যক্ত ফেজের ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও নতুন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে ১৩০৬ নং ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন করার প্রক্রিয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ।