কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে নীলফামারীর তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার (পহেলা আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তার পানি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী এলাকায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈনুল হক জানান, ‘নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আমার ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের শুকনো খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে ফের বাড়তে শুরু করেছে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি। কয়েক সপ্তাহ পানি কম থাকলেও সোমবার (পহেলা আগস্ট) দুপুর থেকে বিপদসীমার ২১সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর বাম তীরের চরখড়িবাড়ি এলাকার দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বালুর বাঁধের ২০০ মিটার ভেঙে গেছে । উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পূর্ব খড়িবাড়ী, কিছামত, ছোটখাতা, হরিশের চরসহ ৮টি চরের অনেক বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পানির প্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাউবো প্রস্তুত রয়েছে।