দেশে বর্তমানে ৩০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রোল এবং ৩২ দিনের জেট ফুয়েল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ। বুধবার (১০ আগস্ট) জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, প্রায় সব ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, দাম বাড়ানোর পরও প্রতি লিটার ডিজেলে ৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলো দাম বাড়ায় গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে লোকসান দিচ্ছিলো বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি। এই সময়ে বিপিসির এফডিআর ও জমানো টাকা দিয়ে তেলের লোকসান পূরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ।

তিনি বলেন, লোকসানের চাপ সামাল দিতে না পারায় বাধ্য হয়ে সরকার তেলের দাম বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কমে গেলে দেশের বাজারেও জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে বলে জানান বিপিসির চেয়ারম্যান।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর অকেটন প্রতি লিটার ১৩৫ ও পেট্রল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়।