রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারের ওপর নির্মাণাধীন বিআরটি প্রকল্পের যে ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ার ঘটনার সময় ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী রাকিব। আর বাইরে থেকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন মূল অপারেটর আল আমিন।
বৃহস্পতিবার (১৮ই আগস্ট) র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ক্রেনের মূল চালক ছিলেন আল আমিন। তার হালকা যানের লাইসেন্স থাকলেও ভারি যানের লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া ঘটনার দিন ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন আল আমিনের সহকারী রাকিব। আর আল আমিন বাইরে থেকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন।
র্যাব জানায়, ক্রেনের মূল অপারেটর আল আমিনের হালকা গাড়ি চালানোর অনুমোদন থাকলেও ভারি গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নেই। ২০১৬ সালে ক্রেন চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর দুই থেকে তিনটি নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করার পর ২০২২ সালের মে মাসে বিআরটি প্রকল্পে ক্রেন অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করে। হেলপার রাকিব তিন মাস আগে প্রকল্পের ক্রেন হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করে। তার ক্রেন চালনার কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ছিল না।
তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনার দিনে আল আমিন ও রাকিব দুপুর ২টায় ক্রেন চালনা শুরু করে। একটি গার্ডার স্থাপন শেষে দ্বিতীয় গার্ডার স্থাপনের সময় ক্রেনের ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ওজনের গার্ডার উত্তোলনের জন্য ক্রেনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ডারটি প্রাইভেট কারের ওপর ছিটকে পড়ে দুর্ঘটনা সংঘটিত ঘটে। দুর্ঘটনার পর ক্রেনের মূল চালক আল আমিন হেলপার রাকিব ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সোমবার (১৫ই আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীম উদদীন এলাকার আড়ংয়ের সামনে ওই দুর্ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণার ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দাযয়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (১৭ই আগস্ট) রাতে ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে ক্রেন চালক, তার সহকারী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।