দৈনিক ৩শ’ টাকা মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের টানা কর্মবিরতি চলছে। আজও (শনিবার) দেশের ১৫৮টি চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে না গিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে আন্দোলন জোরদার করেছে শ্রমিকরা। ১৩ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সব চাবাগানে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির মাধ্যমে ধর্মঘট করছেন শ্রমিকরা।

মজুরি বাড়ানোর জন্য বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ, মজুরি বোর্ড, চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকের পরও দাবি পূরণ না হওয়ায় কর্মবিরতি অব্যাহত আছে।

শনিবার (২০শে আগস্ট) সকালে হবিগঞ্জের কয়েকটি চা বাগানে দেখা যায়, জেলার ২৪টি বাগানে শ্রমিকরা কর্মবিরতির পাশাপাশি বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করছেন। শ্রমিকরা বাগানের সড়কে বসে স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের কথা বলতে দেখা যায়।

এছাড়া, সিলেট ও মৌলভাবাজারের চা শ্রমিকরাও তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। কোথাও কোথাও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করতে দেখা গেছে।

শ্রমিকরা বলেন, মালিকপক্ষ আমাদের ১৪০ টাকা দিতে চায়। আমরা সেটা নেব না।  দরকার হলে আমরা না খেয়ে থাকব। যত দিন আমাদের দাবি পূরণ না হয়, তত দিন আমরা চা বাগানের কাজে যোগ দেব না।

এদিকে, শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে বাগানে চা-পাতা তোলা বন্ধ থাকায় চা উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। এতে দিনে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের চা পাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর আগে, বাগানমালিক কর্তৃপক্ষ, শ্রম অধিদপ্তর ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের কয়েক দফা বৈঠকের পরও সমঝোতা হয়নি। সংকট নিরসনে আগামী ২৩শে আগস্ট ঢাকায় শ্রম মন্ত্রণালয়ে সরকার, বাগান মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়ে আরেকটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।