আগামি শনিবার (২৭শে আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসবেন চান বাগান মালিকরা। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভনে এই বৈঠক হবে। এতে  চা বাগান শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

এদিকে,মজুরি বাড়ানোর দাবিতে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি ১৩তম দিনের মতো চলছে। কাজে যোগ দিতে প্রশাসনের অনুরোধে সাড়া মিলছে না। শ্রম অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সাথে কয়েক দফা বৈঠক হওয়ায় পরও কোন সমাধান হয়নি। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেটের বাগানগুলোয় বন্ধ রয়েছে চা পাতা তোলা।

শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতিতে মৌলভীবাজারে চা বাগানগুলোর কাজে এখন স্থবিরতা। এখনও দাবিতে অনঢ় চা শ্রমিকরা। অংশ নিচ্ছেন মানববন্ধন, মিছিলসহ নানা কর্মসূচিতে। শ্রম অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সাথে কয়েক দফা বৈঠক হওয়ায় পরও কোন সমাধান হয়নি।

মৌলভীবাজার ভাড়াউড়া চা বাগান পঞ্চায়েত প্রধান নূর মোহাম্মদ  জানান, চা শ্রমিকরা চাইছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা। মৌলভীবাজারে আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এই বাজারে দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি না দিলে তারা কাজে ফিরবে না।

বৃহস্পতিবার খেজুরীছড়া বাগানে মানববন্ধন করেছেন চা শ্রমিকদের সন্তানেরা। পিতা-মাতার দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে তারা।

শ্রীমঙ্গল বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম জানান, শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে বিভিন্ন বাগানের পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে শ্রীমঙ্গল বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে আবারো  বৈঠকে বসেছেন শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তারা।

হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতেও চলছে লাগাতার কর্মবিরতি। বাগানগুলোর চা শ্রমিকরা প্রতিদিন বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। সিলেটের চা বাগান গুলোতেও একই  চিত্র।

চা বাগানের পঞ্চায়েত নেতারা বলছেন, শ্রমিকদের আন্দোলন এখন আর নেতাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই শ্রমিক নেতারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তা হয়নি।

গত ৯ই আগষ্ট থেকে টানা ৪ দিন দুই ঘন্টা করে এবং ১৩ ই আগষ্ট থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন চা শ্রমিকরা।