টিকে থাকার ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ১৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ১৯৪ রানের লক্ষে নেমে মাত্র ৩৮ রানে শেষ হয় হংকংয়ের ইনিংস। হংকংয়ের বিদায়ে চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের টিকিট পেল পাকিস্তান।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ২ ওভারে ১৬ রান তুলে হংকং। এরপর রীতিমতো উইকেটের মিছিল চলতে থাকে। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন নিজাকাত। নাসিম শাহের শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে তিনি করেন ৮ রান। ওয়ানডাউনে নামা বাবর হায়াত ৪ বল মোকাবিলা করেও স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ করতে পারেননি। তিনিও নাসিমের বলেই পরাস্ত হন।
আইজাজ খান দেখে দেখে ৫ বল খেলে ১ রান করলেও পরের বলেই উইকেট বিলিয়ে দেন, উলাসে মাতেন শাদাব খান। এরপর দলীয় ৩০ রানে কিঞ্চিৎ শাহ, ৩১ রানে স্কট ম্যাককিনি ও ৩৬ রানে হারুন আরশাদ প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এদের মধ্যে কিঞ্চিৎ ও ম্যাককিনির উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। বাকিদের মধ্যে জিশান আলি ৩ ও আয়ুশ শুকলা ১ রান করেন।
এর আগে বাঁচা মরার এই লড়াইয়ে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় হংকংয়ের অধিনায়ক। এরপর শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি দলটির। দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ধীরগতিতে সূচনা করেন ইনিংসের। বাবর তাও একটু ‘হাত খুলে’ খেলছিলেন। ৮ বলে তিনি করেছেন ৯ রান। ওদিকে রিজওয়ান যেভাবে ইনিংস শুরু করেছেন, সেটা বোধহয় আজকাল ওয়ানডেতেও কোনো ব্যাটসম্যান করেন না। ৯ বল খেলে তিনি করেন মাত্র ৪ রান। ফলে পাকিস্তান তাদের উদ্বোধনী জুটি থেকে পায় ১২ রান, তাও ১৭ বল খরচায়।
তৃতীয় ওভারের ৫ম বলে নিজের বিপদ ডেকে আনেন বাবর। অফ স্পিনার এহসান খান বলটা খানিকটা হাওয়ায় ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বাবরকে। ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক ফিরতি ক্যাচ দেন এহসানকে। ১২ রানে পাকিস্তান হারায় নিজেদের প্রথম উইকেট। ধীরগতির শুরুর পর দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে খুইয়ে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খানিকটা অস্বস্তিতেই পড়ে যায় পাকিস্তান। ওয়ানডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ফখন জামান ৪১ বলে তিন বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করে বিদায় নেন। এরপর আর কোন উইকেট হারায়নি তারা।
ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৭ বলে ছয় বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৭৮ রান করেন। এছাড়া খুশদিল শাহ ১৫ বলে ৫ ছক্কায় ৩৫ রানের ঝড় তুলে অপরাজিত থাকেন।