মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে বজ্রপাতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১০ই সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ধামারন গ্রামে বিলের মধ্যে শাপলা তুলতে গেলে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া শিশুরা হলো- রবিউল হাসান (১৬), সাইফুল ইসলাম লামিম (১২) ও সানজিদা আক্তার (৯)। এ ছাড়া বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে সিফাত (১৫)। এদের মধ্যে সানজিদা ও রামিম নানির বাড়ি বেড়তে এসেছিল। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। অপর শিশু রবিউল সানজিদা ও রামিমের মামাতো ভাই হয়। রবিউল ধামারন গ্রামের মমিন আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধামারণ ইউনিয়নের পশ্চিমের চক বিলে চার শিশু মিলে শাপলা তুলতে যায়। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে বজ্রাঘাতে তিন জনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
টংগীবাড়ি থানার ওসি রাজিব খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সিফাতকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেলের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফেরদৌস হাসান জানান, দুপুরে টংগীবাড়ি থেকে তিন শিশুকে নিয়ে আসে তাদের স্বজনরা। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তারা মারা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সানজিদা টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সোনারং গ্রামের সাইফুল মোলর মেয়ে এবং রামিম একই গ্রামের কামালের ছেলে। সানজিদা ও রামিম স্থানীয় মাদরাসায় লেকাপড়া করত। মাদরাসার ছুটিতে তারা গত বৃহস্পতিবার ধামারন গ্রামে মামা মমিন আলী বেপারীর বাড়িতে বেড়াতে আসে।
পরে শনিবার দুপুর ১টার দিকে রবিউল, সানজিদা ও রামিমসহ অপর আরেক শিশু বাড়ির পাশের বিলে শাপলা তুলতে যায়। দুপুরে বজ্রপাতে ওই ৪ শিশু সেখানে আহত হয়। তাদেরকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।