উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখ বনাম বার্সেলোনা ম্যাচ ঘিরে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ হবে এমনটাই প্রত্যাশিত। হলও তাই। ফল যদিও এক তরফা। মাত্র চার মিনিটের ধাক্কা। সামলে উঠতে পারল স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ জিতল ২-০ ব্যবধানে।
দুটি গোল এল মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে। প্রথমার্ধে অনবদ্য ফুটবল খেলেও দ্বিতীয়ার্ধে পরপর দু’গোল হজম বার্সেলানার। বায়ার্নের হয়ে ম্যাচের ৫০ ও ৫৪ মিনিটে গোল করেন লুকাস হার্নান্ডেজ এবং লেরয় সানে। যদিও বার্সা পট্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার দারুণ আক্রমণে বায়ার্নকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। শুধু গোলটাই পায়নি তারা।
প্রথমার্ধে দুই দলই দারুণ কিছু আক্রমণ শানায়। গোল ছাড়া আসলে সম্ভাব্য সবরকম নাটকীয়তার দেখা মেলে। এ অর্ধে বায়ার্নের জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার দারুণ দুটি সেভ করেন। বার্সার আক্রমণভাগের দুই প্রধান তারকা পেদ্রি ও রবার্ট লেভানদোভস্কির দুর্দান্ত প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বার্সা। ৫০তম মিনিটে জশুয়া কিমিচের কর্নার কিকে বল পোস্টের সামনে পড়লে তা ঠেকাতে গিয়ে মিস করে বসেন রাফিনহা। সেখানে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা লুকাস হার্নান্দেস দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন।
৫৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ে লেরয় সানের গোলে। এবার বার্সার রক্ষণে ঢুকে সানের দিকে বল বাড়িয়ে দেন মুসিয়ালা । বায়ার্নের মিডফিল্ডার সোজা বল নিয়ে পোস্টের দিকে এগিয়ে যান এবং একদম সামনে থেকে শট নেন। বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান বলে হাত ছোঁয়ানোর চেষ্টা করলে বলের গতি কিছুটা কমে যায়। কুন্দে দৌড়ে যান বল ঠেকাতে। কিন্তু তার আগেই লাইন পেরিয়ে যায়। বাকি সময় বলার মতো আর আক্রমণ শানাতে পারেনি কোনো দলই।
২ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে গ্র“প ‘সি’-এর শীর্ষে বায়ার্ন। সমান ম্যাচে ১ জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বার্সা। একই রাতে ভিক্টোরিয়া প্লাজেনকে হারিয়ে দেওয়া ইন্টার মিলান আছে পয়েন্ট তালিকার তিনে। ইতালিয়ান জায়ান্টরাও ২ ম্যাচের একটিতে জয় পেয়েছে।