মিয়ানমারে সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ার পরও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনে ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি। স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে লন্ডনের ক্ল্যারিজ হোটেলের মিটিং রুমে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রয়াত ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চার দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

দুই নেতার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লেবার পার্টির নেতাকে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি কীভাবে বাংলাদেশের ওপর বোঝা হয়ে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে জানান। এ সময় তারা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে দেশটির সাম্প্রতিক সশস্ত্র সংঘাতের বিষয়েও আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ার পরও সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়ে বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এ সময় রানির প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী আবারও গভীর শোক জানান। স্যার স্টারমার রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

লেবার পার্টির প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক চমৎকার বন্ধনে আবদ্ধ, যা ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়েছে। বৈঠকে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাবেক লেবার প্রধানমন্ত্রী স্যার হ্যারল্ড উইলসনের বৈঠক ও ব্যক্তিগত চমৎকার সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে লেবার পার্টির বার্তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। ২০১৬ সালে নিজের বাংলাদেশ সফর ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন স্যার স্টারমার।

বাংলাদেশি বংশদ্ভূত উলে­খযোগ্যসংখ্যক ব্রিটিশ নাগরিকের লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, লেবার পার্টি তরুণ প্রজন্মকে সামনে আনা এবং তাদের বিকাশে কাজ করছে, যা আরও ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের আকর্ষণ করতে পারে।

দুই নেতা গ্লোবাল সাউথ এলাকায় ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন। বিশ্বের মানুষকে খাদ্য, জ্বালানি এবং আর্থিক দুরবস্থা থেকে রক্ষা করতে এই সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই যুদ্ধের কারণে দেয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বিবেচনা করার প্রস্তাব দেন, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কনফেডারেশন অফ ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (সিবিআই) এর প্রেসিডেন্ট লর্ড করন বিলিমোরিয়া। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) সকালে ক্ল্যারিজ হোটেলের মিটিং রুমে সাক্ষাৎ করেন তারা। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর হোটেল স্যুটে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড।

এর আগে ১৫ই সেপ্টেম্বর লন্ডনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে রয়েছেন।

১৯শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। একইদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন ত্যাগ করবেন।
মিয়ানমারে সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ার পরও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনে ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি। স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে লন্ডনের ক্ল্যারিজ হোটেলের মিটিং রুমে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রয়াত ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চার দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

দুই নেতার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লেবার পার্টির নেতাকে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি কীভাবে বাংলাদেশের ওপর বোঝা হয়ে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে জানান। এ সময় তারা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে দেশটির সাম্প্রতিক সশস্ত্র সংঘাতের বিষয়েও আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ার পরও সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়ে বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এ সময় রানির প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী আবারও গভীর শোক জানান। স্যার স্টারমার রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

লেবার পার্টির প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক চমৎকার বন্ধনে আবদ্ধ, যা ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়েছে। বৈঠকে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাবেক লেবার প্রধানমন্ত্রী স্যার হ্যারল্ড উইলসনের বৈঠক ও ব্যক্তিগত চমৎকার সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে লেবার পার্টির বার্তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। ২০১৬ সালে নিজের বাংলাদেশ সফর ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন স্যার স্টারমার।

বাংলাদেশি বংশদ্ভূত উলে­খযোগ্যসংখ্যক ব্রিটিশ নাগরিকের লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, লেবার পার্টি তরুণ প্রজন্মকে সামনে আনা এবং তাদের বিকাশে কাজ করছে, যা আরও ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের আকর্ষণ করতে পারে।

দুই নেতা গ্লোবাল সাউথ এলাকায় ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন। বিশ্বের মানুষকে খাদ্য, জ্বালানি এবং আর্থিক দুরবস্থা থেকে রক্ষা করতে এই সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই যুদ্ধের কারণে দেয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বিবেচনা করার প্রস্তাব দেন, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কনফেডারেশন অফ ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (সিবিআই) এর প্রেসিডেন্ট লর্ড করন বিলিমোরিয়া। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) সকালে ক্ল্যারিজ হোটেলের মিটিং রুমে সাক্ষাৎ করেন তারা। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর হোটেল স্যুটে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড।

এর আগে ১৫ই সেপ্টেম্বর লন্ডনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে রয়েছেন।

১৯শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। একইদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন ত্যাগ করবেন।