দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতিটি মণ্ডপ ও মন্দির পাহারা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ (শুক্রবার) সকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সাথে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, মৌলবাদী অপশক্তি নিষ্ক্রিয় থাকলেও ভেতরে ভেতরে তারা অনেক শক্তিশালী। বিভিন্ন পরিচয়ে তারা অপকর্ম চালায়। চিন্তা-চেতনায় অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সবসময় সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি গতবারের দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দরকার হলে মন্দিরে-মন্দিরে-মণ্ডপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাহারায় থাকবে, তাদের পাশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও থাকবেন।
‘এটা আশা করি আমরা, এই উৎসবে সবাই শরিক হবে। কাজেই, সতর্কভাবে-সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থাকার জন্য এবং নিরাপত্তার বিষয়ে সব ধরনের উদ্বেগ দূর করার জন্য আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনাও এসেছে’—যোগ করেন তিনি
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তিকে বাইরে থেকে যতটা নিষ্ক্রিয় মনে হয় ভেতরে ভেতরে তারা তার চেয়ে সক্রিয়। কুমিল্লায় যা ঘটেছে; বীভৎস। চৌমুহনীতে যা ঘটেছে তা আরও ভয়াবহ। এ ছাড়া রংপুর-সিলেট-সুনামগঞ্জ-নাসিরনগরের ঘটনা, এ ধরনের অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। আমি মনে করি, যারা এসব ঘটনা ঘটায়, যে পরিচয়েই হোক, তাদের একমাত্র পরিচয় হচ্ছে দুর্বৃত্ত। কোনো দুর্বৃত্তের জায়াগা বাংলাদেশ হবে না। আওয়ামী লীগেও কোনো দুর্বৃত্তের জাগায় নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে তারা আতঙ্কে থাকবে-উদ্বিগ্ন থাকবে এটা হতে পারে না। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার ভোটের মূল্য সমান। কারো ভোটের মূল্য বেশি, কারো কম না। আপনারাও এ দেশের নাগরিক এবং আপনারা দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক এটা কারো মনে করা উচিত না।