বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার ২৬ বছর পর স্বামীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ বুধবার (১৯শে অক্টোবর) বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া শেরপুর উপজেলার পালসন গ্রামের মৃত আরিফ উল্ল্যাহ ফকিরের ছেলে জিল্লুর রহমান, মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে গোলাপ হোসেন ও খারতাপাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ মণ্ডল। নিহত গৃহবধূর নাম চায়না খাতুন। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাপ হোসেনের স্ত্রী।
মামলা সুত্রে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের দুবলা গ্রামের মাজেম মন্ডলের মেয়ে চায়না খাতুনের সঙ্গে পালাশন গ্রামের গোলাপ হোসেন ওরফে গোলাপের বিয়ে হয়। তবে গোলাপের পিতা জহুরুল বিয়ে মানতে অস্বীকার করেন। এতে বিয়ের কিছু মাস পরে দুজনের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। পরে পারিবারিক এই ঘটনার জের ধরে চায়না নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ১৫ থেকে ১৬ দিন পরে ১৯৯৬ সালের ১৪ই এপ্রিল পালাশন গ্রামের এক ব্যক্তির সেফটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
চায়নাকে বাড়ি থেকে তার সাবেক স্বামী ও অন্য আসামিরা ডেকে নিয়ে হত্যা করে। পুলিশ এই মামলায় চায়নার সাবেক স্বামী গোলাপ ও তার পিতা জহুরুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালের ৫ই জুন অভিযোগ পত্র জমা দেয়।
স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বুধবার মামলার রায়ে আদালত ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এর আগে মামলা চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হয়। q