মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করেনি। কিন্তু সরকারের বিপক্ষে গিয়েও এডওয়ার্ড এম কেনেডি বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরিতে কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতির ৫০ বছর উপলক্ষ্যে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় সাবেক মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির পুত্র এডওয়ার্ড টেডি এম কেনেডি বক্তৃতা রাখেন। ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ সফরকে এডওয়ার্ড এম কেনেডির রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে কিছু ভুল ছিলো। তবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত তৈরিতে কাজ করেছে অনেক মার্কিনি।
একাত্তরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী সিনেটর ছিলেন এডওয়ার্ড এম কেনেডি। তাঁরই পুত্র এডওয়ার্ড টেড এম কেনেডি জুনিয়র এই অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, তাঁর পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সমর্থক ছিলেন।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এম কেনেডি জুনিয়রকে স্বপরিবারে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ১৯৭২ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে বটগাছের চারা রোপণ করেছিলেন। বাবার সেই স্মৃতি বিজড়িত স্থান পরিদর্শন করেন টেড কেনেডি জুনিয়র।