ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় রুবিনা আক্তার (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গাড়িচালককে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। আজ (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গাড়িচালকের নাম আজাহার জাফর শাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। নিহত নারীর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
জানা যায়, রুবিনা তার দেবর নুরুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিলেন। প্রাইভেটকারটি পেছন থেকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে তার জামা-কাপড় বাম্পারের সঙ্গে আটকে যায়। তখন প্রাইভেটকারটি পাবলিক লাইব্রেরির সামনের সড়ক থেকে রুবিনাকে টেনে-হিঁচড়ে নীলক্ষেত এলাকার দিকে নিয়ে যেতে থাকে। পরে আশেপাশের লোকজন গাড়ি থামিয়ে চালককে মারধর করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন রুবিনার মৃত্যু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক জাফর শাহ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ জানান, একটি প্রাইভেটকার ওই নারীকে টেনে-হিঁচড়ে অনেক দূরে নিয়ে যায়। হয়তো তার পরনের জামাকাপড় গাড়ির সঙ্গে আটকে গিয়েছিল। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক জাফর শাহ নামে এক ব্যক্তি। পরে উত্তেজিত জনতা গাড়িটি ভাঙচুর করে। পাশাপাশি চালক জাফর শাহ গণধোলাইয়ের শিকার হন। তিনিও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে নিহত নারীর দেবর নুরুল আমিন জানান, তাদের বাসা হাজারীবাগের সেকশন এলাকায়। তেঁজগাও থেকে ভাবিকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সেকশন এলাকায় যাচ্ছিলেন। শাহবাগ মোড়ে প্রাইভেটকারটি পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। তখন তার ভাবি প্রাইভেটকারের বাম্পারের সঙ্গে আটকে যান। প্রাইভেটকারটি তার ভাবিকে টেনে-হিঁচড়ে প্রায় নীলক্ষেত পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনতা গাড়িটিকে আটক করে। অন্যদিকে হাসপাতালে তার ভাবির মৃত্যু হয়।