বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করা হয়নি; বরং তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।
আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। এই ঘটনার ছায়া তদন্তকারী সংস্থা র্যাবও মনে করে ফারদিন আত্মহত্যাই করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফারদিন ঘটনার দিন (চৌঠা নভেম্বর) বিকেলে পরীক্ষার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে বিকেল ৫টার দিকে সাইন্সল্যাবের মোড়ে পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে ঘোরাঘুরি করেন। এরপর রাত ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায়ও ঘোরাঘুরি এবং রাত ১০টার দিকে রামপুরা ব্রিজের দিকে ঘোরাঘুরি করেন। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ফারদিন কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা, বাবু বাজার, জনসন রোড এবং পুরান ঢাকা এলাকায় বিচরণ করেছিলো।
আত্মহত্যার ক্লু হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন সিসিটিভির সময় অনুযায়ী রাত ২টা ৩ মিনিটে ফারদিন যাত্রাবাড়ি থেকে একটি লেগুনায় ওঠে। এরপর সেখান থেকে রাত ২টা ২০ মিনিটে সুলতানা কামাল ব্রিজের পাশে তারাবোতে তিনি লেগুনা থেকে নেমে যান।
তিনি বলেন, লেগুনার ড্রাইভারের সাথে আমরা কথা বলেছি। লেগুনার চালক জানিয়েছেন, ফারদিন অন্যান্য সবার মতো ভাড়া দিয়ে স্বাভাবিকভাবে নেমে চলে যান। পরবর্তীতে রাত ২টা ২৬ মিনিটে ব্রিজের মাঝামাঝি অবস্থান করছিলেন পরশ।
তিনি আরও বলেন, আমরা অত্র এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ফারদিন রাত ২টা ৩৪ মিনিট ৯ সেকেন্ডে সুলতানা কামাল ব্রিজের অপর প্রান্তে যান। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী ফারদিন সেচ্ছায় রাত ২টা ৩৪ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেন। এছাড়া ফুটেজে ঝাঁপ দেয়ার পর নদীতে পানির ঢেউ দেখা যায়। সর্বোপরী এসব থেকে প্রতীয়মান হয় ফারদিন নিজ ইচ্ছায় আত্মহত্যা করেছেন।