যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে ৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক ঘরবাড়ি। বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে তুষারপাত। মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে বাতিল হয়েছে দেড়শোরও বেশি ফ্লাইট। টর্নেডোটি আরও শক্তিশালী হয়ে মিসিসিপি, আলাবামা এবং ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিে ছে আবহাওয়া বিভাগ। এদিকে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অংশে তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে। স্থবির সেসব অঞ্চলের জনজীবন।

ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য লুইজিয়ানা। আজ (বুধবার) লুইজিয়ানার নিউ আইবেরিয়া শহরে তাণ্ডব চালায় এটি। তীব্র বাতাসের তোড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। উপড়ে পড়ে গাছপালা। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

টর্নেডোর প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলেও তুষারঝড় হয়েছে। কিছু এলাকায় তুষারপাত হয়েছে ৪ ফুট পর্যন্ত। সাময়িক বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই অঞ্চলে ৩ হাজার ৩০০টি ফ্লাইটের শিডিউল পিছিয়ে গেছে। বাতিল হয়েছে দেড়শোরও বেশি ফ্লাইট।

তীব্র বাতাস আর ভারী তুষারপাতের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। নেব্রাস্কা, ওয়াইমিং, সাউথ ডাকোটা এবং মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, মিসিসিপি, আলাবামা এবং ফ্লোরিডার কিছু অংশ সহ উপকূলে প্রবল ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব উপকূলে শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে তাপমাত্রা নেমে গেছে হিমাঙ্কের নিচে। তুষারঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যুতবিহীন সেখানকার প্রায় তিন হাজার ঘরবাড়ি। বিঘ্নিত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে দ্বীপের প্রধান সুমবোরা বিমানবন্দর। লন্ডনের বিভিন্ন সড়কে তুষার জমে চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। আগামী কয়েকদিন তুষারপাতের পাশাপাশি তুষারঝড়েরও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় ভয়াবহ বন্যা আর ভূমিধসে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ জনে। এখনও নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। পানিতে তলিয়ে আছে ৪০ হাজারেরও বেশি বসতবাড়ি।