চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে চরম ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলাদেশের। সিরাজ, কুলদ্বীপের তোপের সামনে টাইগার ব্যাটারদের অসহায় আত্মসমর্পণ। প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৪০৪ রানের জবাবে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান তুলে ২য় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। পিছিয়ে আছে আরও ২৭১ রানে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের একদম প্রথম বলেই আউট হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহাম্মদ সিরাজের অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বল শান্তর ব্যাটে লাগলে উইকেটের পেছনে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরেন ঋষভ পন্থ। বাংলাদেশের ১৪তম উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে টেস্টে গোল্ডেন ডাক মারেন শান্ত।
এরপর ক্রিজে এসে ইয়াসির আলিও থাকতে পারেননি। ১৭ বলে ৪ রান করে উমেশ যাদবের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। লাঞ্চের আগে লিটনের ইনিংসও আশা দেখাচ্ছিল বেশ। উমেশ যাদবের ওভারে টানা তিন চার মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে সিরাজের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান লিটন। পরের বলেই বোল্ড হন। ৩০ বলে ৫ চারে ২৪ রান করেন লিটন। এরপর সাকিব আল হাসান ধৈর্য ধরেছিলেন বেশ কিছুক্ষণ।
কিন্তু পরে তিনিও আউট হন উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে। কুলদ্বীপ যাদবের টার্ন করা বল ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো কোহলির হাতে ক্যাচ যায়। ২৫ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান সাকিব। এরপর নুরুল হাসান সোহান শর্ট লেগে দাঁড়ানো শুভমন গিলের হাতে ক্যাচ দেন যাদবের বলে। ২২ বলে ১৬ রান করেন এই ব্যাটার।
অনেক্ষণ ধরে ক্রিজে থাকা মুশফিকুর রহিমও বিদায় নেন এরপর। ৫৮ বলে ৩ চারে ২৮ রান করেন তিনি। তাইজুল ইসলামও ৪ বলে ০ রান করে বোল্ড হয়ে যান যাদবের বলে। দিনশেষে বাংলাদেশের হয়ে অপরাজিত আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন। ৩৫ বলে ১৫ রান করে মিরাজ ও ২৬ বলে ১৩ রান করে এবাদত।
এর আগে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামে ভারত। শুরুও দিকেই আয়ারের স্টাম্প উপড়ে তাকে আউট করেন এবাদত। ১০ চারে ১৯২ বলে ৮৬ রান করে আউট হয়ে যান ভারতীয় ব্যাটার।
এরপরই খুঁটি গেড়ে বসেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদ্বীপ যাদব। অষ্টম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৯২ রান। অবশেষে তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অশ্বিন তার বলে এগিয়ে আসলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। ২ চার ও ছক্কায় ২৬ বলে ১৪ রান করেন অশ্বিন।
সঙ্গী ফিরে যাওয়ার পর যাদবও ফিরে যান দ্রুতই। তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ৫ চারে ১১৪ বলে করেন ৪০ রান। পরে দুই ছক্কায় ১০ বলে ১৫ রান করেন উমেশ যাদবও।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ৪৬ ওভারে ১০ মেডেনসহ ১৩৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল, ৩১ ওভার ৫ বল হাত ঘুরিয়ে ৬ মেডেনসহ ১১২ রান দিয়ে সমান উইকেট নিয়েছেন মিরাজও। এবাদত ও খালেদ পেয়েছেন এক উইকেট করে। দ্বিতীয় দিনে বল না করা সাকিব ১২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য।