আজ মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে এতে চলাচল করতে পারবেন যাত্রীরা। দেশে প্রথম বারের মতো চালু হতে যাওয়া বিদ্যুতচালিত এই ট্রেন চলবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এর টিকিটব্যবস্থা পুরোপুরিই কম্পিউটারাইজড।

আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে ট্রেন। পরবর্তী সময়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালুর পরিকল্পনা ২০২৩ সালের শেষ দিকে। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। টিকিট, স্টেশনে প্রবেশ-বের হওয়া, ওঠানামা, এমআরটি কার্ড রিচার্জ ইত্যাদি কাজের মহড়া চলছে। তারা বলছেন, দেশের সাধারণ মানুষ এ ধরনের পরিবহনে যাতায়াতে অভ্যস্ত নন। তাদের চলাচলের সুবিধার্থে ভিডিও টিউটোরিয়াল, মাইকিংসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্বোধনের পর কিছুদিন মেট্রোরেল দিনে চার ঘণ্টা করে চলাচল করবে। এজন্য পাঁচটি ট্রেন থাকবে। তবে এরই মধ্যে ১২টি ট্রেন পরীক্ষানিরীক্ষা করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুরুর দিকে পাঁচটি ট্রেনের বেশি প্রয়োজন হবে না। মাস তিনেক পর হয়তো সবগুলো ট্রেন চলাচল শুরু করবে।

কর্মকর্তারা আরো জানান, প্রথম দিন মাত্র দুটি স্টেশন খুলে দেওয়া হবে। একটি উত্তরা উত্তর অন্যটি আগারগাঁও স্টেশন। মেট্রোরেলের ধারণা, আমাদের জন্য একেবারেই নতুন, তাই শুরুতে যাত্রীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ও আছে। পরে যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী এক এক করে অন্য স্টেশনগুলো খোলা হবে।