মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ার পূর্ব দিকে সন্ত্রাসী হামলায় ১০ তেল শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২ জন। আজ জুর প্রদেশের আল-তাইম তেল কূপ থেকে একটি বাস শ্রমিকদের নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় বাসের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে। এক প্রতিবেদনে এতথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদসংস্থা আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জঙ্গি হামলায় ১০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন।’ তবে কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া এটি কি ধরনের হামলা ছিল তাও প্রকাশ করেনি বার্তা সংস্থাটি।

কিন্তু যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস দাবি করেছে, ‘সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একটি শাখা’ এই হামলা চালিয়েছে।

শুক্রবার মার্কিন সমর্থিত এবং কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক বাহিনী বলেছে যে তাদের অভিযানগুলো নববর্ষের প্রাক্কালে পরিকল্পিত একটি আক্রমণকে ব্যর্থ করেছে বলে জানা গেছে। বাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  আইএস জঙ্গিরা আবাসিক এলাকা এবং খামারগুলোতে লুকিয়ে ছিল।

বছরব্যাপী মার্কিন-সমর্থিত মহড়া ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গিদের আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণকে চূর্ণ করতে সফল হয়েছে। কিন্তু আইএস যোদ্ধারা গুপ্ত বাহিনী টিকিয়ে রেখেছে এবং এমন হামলা চালিয়েছে যা গত মাসগুলোতে বহু ইরাকি ও সিরিয়ানকে হত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার সিরিয়ার কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনী তাদের অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে, আইএস হামলার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে ‘অপারেশন আল-জাজিরা থান্ডারবোল্ট’ এর লক্ষ্য আল-হোলে এবং তাল হামিস এলাকায় কাছাকাছি গুপ্ত বাহিনীকে লক্ষ্য করা।

২০১১ সালে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামে দেশটির মানুষ। যা পরবর্তীতেগৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এই যুদ্ধের মধ্যেই উত্থান হয় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের। তারা সিরিয়ার বড় একটি অংশ দখল করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বাহিনীর সহায়তায় ইসলামিক স্টেটকে পিছু হটায় আসাদ সরকার। কিন্তু সিরিয়ায় এখনো বিক্ষিপ্তভাবে নিজেদের কার্যক্রম চালায় তারা।