জাপান সাগরে নতুন করে তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পূর্ব এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়া। চলতি বছর অসংখ্যবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। বছরটি তারা শেষও করল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় সকাল ৮টার একটু পর। দ্বিতীয়টি ৮টা ১৪ মিনিটে। তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় এর এক মিনিট পরই।

সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে। এগুলো প্রায় ১০০ কিলোমিটার উপরে ওঠে এবং ৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যায়।

ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জাপান সাগরে আছড়ে পড়ে। কিন্তু এগুলো জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের বাইরে ছিল। বিশেষ অর্থনৈতিক জোনটি জাপানের উপকূল থেকে ৩৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের পথের আশপাশে থাকা বিমান ও জাহাজে সতর্কতা সংকেত পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড জাপান ও এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলছে। এছাড়া এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনেরও পরিপন্থি।’

উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টির ওপর নজর রাখছে তারা।

এদিকে এ বছর প্রায় ৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যার মধ্যে রয়েছে আটটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র। দেশটির ইতিহাসে যা এক বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর রেকর্ড। উত্তর কোরিয়া এ বছর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাদের মিত্রদের হুমকির কারণে নিজেদের সামরিক শক্তি আধুনিকরণ করবে।

উল্লেখ্য, এ বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকবার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালিয়ে আসছে। বছরের শেষ দিনও পরীক্ষা চালায় ৩টি স্বল্প পাল্লার মিসাইল। এর বেশিভাগই গিয়ে আছড়ে পড়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে।