শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১২ গুণী ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান ‘হুজ হু’ বাংলাদেশ-২০২২ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এ পদক দেয়া হয়। এসময় পদকপ্রাপ্তরা বলেন, সম্মাননা কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগায়। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এসব গুণীজনদের পথ অনুসরণ করবে আগামী প্রজন্ম।
আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা ‘হুজ হু বাংলাদেশ’। যারা সম্মাননা জানিয়ে থাকে বিশিষ্টজনদের। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও সাংবাদিকতাসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশের ১৩ গুণীজনকে পদক প্রদান করেছে সংস্থাটি। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে তাদের হাতে এই পদক তুলে দেয়া হয়।
পদকপ্রাপ্তরা বলেন, দেশের জন্য সবার কোন না কোনভাবে অবদান রাখা উচিত। যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে গেলেই দেশের অগ্রগতি সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি আত্মিক উন্নয়ন দরকার। এজন্য দেশিয় সংস্কৃতি লালনের আহ্বানও জানান তিনি।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন, শিক্ষায় সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শিল্প ও সংস্কৃতিতে রুনা লায়লা, সাংবাদিকতায় ইহসানুল করিম, শিল্প ও সাহিত্যে ড. অগাস্টিন ক্রুজ, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সমাজসেবক কাজী রফিকুল আলম, ক্রীড়ায় সাবরিনা সুলতানা, কৃষিতে লায়ন কহিনুর কামাল, শিল্প-বাণিজ্যে এস এস গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মু. আবু নারী সাদেক, উদ্যোক্তায় স্ট্যান্ডার্ড ফিনিস অয়েল কোম্পানির ম্যানেজিং পার্টনার সুলাইমান এস আযানী, আজীবন সম্মাননা উদ্যোক্তায় নাসিমা আক্তার নিশা, পেশাজীবী বিভাগে অধ্যাপক ড. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, শিল্পী রফিকুন নবী এবং প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা দেওয়া হয় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড টান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি)।
১৮৪৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বের অনুসরণীয় গুণীজনদের পদক প্রদান ও সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করে আসছে হুজ হু। এ পর্যন্ত বিশ্বে ৩৩ হাজার গুণীজনের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬ সালে হুজ হু বাংলাদেশে প্রথম গুণীদের সম্মাননা দেয়। প্রতি দুই বছর পর পর এই পদক প্রদান করে সংস্থাটি।
২০১৬ সালে পদক প্রাপ্তরা হলেন- কৃষিতে শাইখ সিরাজ, শিল্প ও সংস্কৃতিতে সানজিদা খাতুন, শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, সাংবাদিকতায় তোয়াব খান, শিল্প ও সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, সামাজিক কর্মকাণ্ডে স্যার ফজলে হোসেন আবেদ, ক্রীড়া ক্ষেত্রে আকরাম খান, শিল্প বাণিজ্যে রহিম আফরোজ গ্রুপের পরিচালক নিয়াজ রহিম, উদ্যোক্তা হিসেবে এ সি আইর চেয়ারম্যান এম আনিস- উদ্দৌলা, ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, এনাম আলী এবং আজীবন সম্মননা পান আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
২০১৮ সালে হুজ হু বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ২০১৮ তে পদক প্রাপ্তরা হলেন- কৃষিতে ড. এম এ রহিম, শিল্প ও সংস্কৃতিতে আলী জাকের, শিক্ষা ক্ষেত্রে ড. রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিকতায় গোলাম সারওয়ার, শিল্প ও সাহিত্যে সেলিনা হোসেন, সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভেলেরি এন টেলর, ক্রীড়া ক্ষেত্রে কাজী মো. সালাউদ্দিন, উদ্যোক্তা হিসেবে ব্রিটানিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জেপি, ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
২০২০ সালে পদক প্রাপ্তরা হলেন- শিক্ষায় জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, শিল্প ও সংস্কৃতিতে মুস্তাফা মনোয়ার, সাংবাদিকতায় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, শিল্প ও সাহিত্যে বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সমাজ সেবক খন্দকার মহিউদ্দীন, ক্রীড়ায় জোবেরা রহমান লিনু, কৃষিতে পূর্বাঞ্চলের কৃষক জাগরণের নায়ক মো. আব্দুল বাসির বদু মিয়া, শিল্প-বাণিজ্যে আবদুল হালিম পাটোয়ারী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবদুল হালিম পাটোয়ারী, উদ্যোক্তায় অরর্চাড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক, নারী উদ্যোক্তায় বিবি রাসেল, আজীবন সম্মাননায় কণ্ঠযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেনু।