আজ বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়াসহ ৮ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাজধানীতে তাপমাত্রা নেমেছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।

তবে সারাদেশে চলা তীব্র শীতের প্রকোপ আগামী শনিবার (০৭ই জানুয়ারি) থেকে কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবাহাওয়াবিদরা। দুয়েকদিন পর আবার একই পরিস্থিতি হতে পারে বলেও জানানো হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, ‘দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধানজনিত কারণে যে শীতের তীব্রতা এটা আরও দু-একদিন থাকতে পারে। শনিবার থেকে হয়তো পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে সেটা স্থায়ী হবে না, দু-একদিন পর হয়তো আবার পরিস্থিতি এমনই থাকবে।

এদিকে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, কুয়াশা অবস্থা শুক্রবারের পরে অনেক কমে যাবে। কিন্তু ঠাণ্ডা বাতাস বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশেই এখন তীব্র শীতের অনুভূতি। মূলত কুয়াশা ও মেঘের কারণে রোদ উঠতে না পারায় কমে গেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান। একইসঙ্গে উত্তর দিক থেকে বয়ে যাওয়া ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে শীত জেঁকে বসেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

গতকাল বুধবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে কমে হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।