বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে ব্যাটে-বলে সমান দক্ষতা দেখিয়েছে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলটির বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। একশ রানও পার করতে পারেনি । সিলেটের হয়ে ব্যাট করতে নেমে আলো ছড়ান নাজমুল হাসান শান্ত। তার দারুণ ইনিংসে ৮ উইকেটের জয় পায় দল।
চট্টগ্রামের দেয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটেরও। দলের ১২ রানেই রিক্রুট কলিন অ্যাকারম্যান শিকার হন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে। তবে শুরু ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে শান্ত ও জাকির হাসান গড়েন ৬৩ রানের বড় জুটি। দলীয় ৭৫ রানে জাকির হাসান লঙ্কান বোলার পুষ্পকুমারার বলে এলবির শিকার হন। তার আগে ২১ বলে করেন ২৭ রান করেন এ ব্যাটার।
অপরদিকে তৃতীয় উইকেটে বাকিটা সময় দেখে শুনে কাটিয়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ফলে বাকি সময়ে ১৫ রান তুলে ৮ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স।
এদিন টসে হেরে চট্টগ্রামের ব্যাটাররা বেশ হতাশই করে। শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে। ফলে ওপেনিং জুটি থেকে আসে মাত্র ১১ রান। যা আসে মেহেদী মারুফের ব্যাট থেকেই। এ ব্যাটার নিজের ভুলে রান আউটের শিকার হলে ভাঙে এ জুটি।
এছাড়া দলের ৫০ রান তোলার আগেই অর্ধেক ব্যাটার হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম শিবির। দলটির অধিনায়ক শুভাগত হোম ১, আফগান রিক্রুট দারউইশ রসুল ৩, পাকিস্তানি উসমান খান ৩ এবং বাংলাদেশের আল আমিনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
অপরদিকে পাঁচে নেমে চট্টগ্রামের তারকা ব্যাটার আফিফ হোসেন হাল ধরার চেষ্টা করলেও। শেষ পর্যন্ত ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনিও। শেষ দিকে আর কোনো ব্যাটার লড়াকু পুঁজি না করতে পারলে ৮৯ রানে ইনিংস নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।