নতুন বছরের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে দিনের বেলায় কখনো কখনো সূর্যের দেখা মিললেও বিকেলের পর থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে অধিকাংশ এলাকা। অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ (শুক্রবার) দেশের ২৭টি জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আগামীকাল থেকে কিছু এলাকায় শীতের তীব্রতা কমতে পারে।
উত্তরের দুই বিভাগ রংপুর, রাজশাহী এবং ১১ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও আগামী তিন দিনে রাতের তাপমাত্রা আবারও কমতে পারে। এতে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় শীতের ভোগান্তি কমছেনা।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলাসহ রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রংপুর অঞ্চলে। পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে দিনের বেলা সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নেমে আসছে কনকনে ঠান্ডা। দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং কনকনে ঠান্ডা বাতাসে কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
গাইবান্ধায় বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের মানুষ। রাজশাহীতে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে।
নওগাঁয় গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ঘন কুয়াশায় ও কনকনে ঠান্ডায় মড়ক ধরেছে বোরো বীজতলায়। হাড় কাঁপানো শীতে কাপছে চুয়াডাঙ্গা। হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।
যশোরেও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। কাজে যোগ দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে শ্রমিকরা।