নানা রঙের ঘুড়ি ওড়ানো আর আতশবাজির ঝলকানিতে পুরাণ ঢাকাবাসী উদযাপন করল সাকরাইন উৎসব। দিনটি ঘিরে ছিল নানান আয়োজন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেকে পুরাণ ঢাকার জড়ো হয় নানা বয়সের তরুণ তরুণীরা। এদিন দেখা যায়, বিভিন্ন রঙের ঘুড়িতে পুরো আকাশ সয়লাব হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সকাল থেকে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া, শাঁখারীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, বাংলাবাজার, ফরাশগঞ্জ, সূত্রাপুর, নারিন্দা, স্বামীবাগ, প্যারিদাস রোড, শিংটোলা, নারিন্দা, তালপট্টিসহ পুরান ঢাকার বাসা-বাড়ির ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো শুরু হয়।
বাসার ছাদে নারী-পুরুষ, ছোট-বড়দের আড্ডায় মুখরিত। সন্ধ্যা নামতেই ডিজে মিউজিকের তালে তালে চলছে নাচ-গান। তবে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবার ফানুস ওড়াতে দেখা যায়নি।
আকাশের নীল বা ধূসর ক্যানভাসে ভেসে উঠছে বেগুনী, কমলা, হলুদ, সবুজ, লাল সহ নানা উজ্জ্বল রঙ। মাঞ্জা লাগানো সুতোর ধারে কেটে যাচ্ছে একটার পর একটা ঘুড়ি।
ঘুড়ির ওড়ানোর পর্বের বিপরীত পাশে চলতে থাকে শীতের পিঠা খাওয়ার আনন্দ। যেখানে সকল বয়সীরা উপভোগ করে মুহূর্তগুলো। তারা জানান, এ আয়োজনে আসতে পেরে তারা আনন্দিত।
পড়ন্ত বিকালের লাল সূর্য অস্ত যেতেই আলোক সাজে রঙ্গিন হয় পুরো আকাশ। আতশবাজি আর ফানুসের ঝলকানিতে ছেয়ে যায় চারপাশ। এই উৎসব শুধু পুরাণ ঢাকাবাসী নয়, বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো হয় আগন্তুকরা।
পুরাণ ঢাকার রুপলাল দাস লেন, শ্যাম বাজার, গেণ্ডারিয়া, মুরগীটোলা, ধূপখোলা, দয়াগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, কাগজিটোলা, বাংলাবাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, কলতাবাজার, ধোলাই খাল, শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, তাঁতি বাজার, সদরঘাট এবং লালবাগ এলাকা চলে এ সাকরাইন উৎসব।