গাজীপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) আরও চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে।

দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকার কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইন এলাকায় মুসল্লি আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৫), রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবাজার এলাকার ব্যবসায়ী বোরহান (৪৮), শুক্রবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার শুকুর মন্ডলের ছেলে আব্দুল হামিদ মন্ডল (৫৫) ও ঢাকার সাভারের বাসিন্দা আব্দুল আলীমের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৫৪) মারা গেছেন।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনজনেরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় ইজতেমা মাঠে বৃহৎ জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জামাত শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করেন দিল্লি নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্দলভী।

ইজতেমায় যোগদানকারী মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে রাজধানী ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমাস্থলে হাজির হন। ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে মানুষের ঢল নামে। দুপুর ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সবস্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

দ্বিতীয় পর্বে তিনদিনের এই ইজতেমা শেষ হবে আগামী রোববার।

গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। যা রোববার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। চার দিন বিরতির পর শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) শুরু হলো দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা।

প্রথম পর্বের ইজতেমায় সাতজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছিল। তাদের প্রত্যেকেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে মারা যান বলে ওই পর্বে ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী জহির ইবনে মুসলিম গণমাধ্যমকে জানান।