মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়ান জাহাজ উরসা মেজরে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানোর বিষয়টি বাংলাদেশ আশা করেনি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রাশিয়ার এমন আচরণ তাজ্জব লেগেছে মন্ত্রীর কাছে। রোববার (২২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রাশিয়া জেনে বুঝে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা জাহাজ পাঠানোয় বিস্ময় প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে তাজ্জব লেগেছে যে, রাশিয়া জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞা আছে এমন জাহাজের নাম পরিবর্তন করে পাঠিয়েছে। আমরা এটি আশা করিনি। আমরা আশা করি, রাশিয়া এখন নিষেধাজ্ঞা নেই এমন জাহাজে পণ্যগুলো পাঠাবে।
নিষেধাজ্ঞা আছে এমন জাহাজ পাঠালে তা গ্রহণ করা হবে না বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা রাশিয়াকে বলেছি নিষেধাজ্ঞা আছে এমন জাহাজে পণ্য না পাঠাতে। নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন জাহাজ আমরা গ্রহণ করতে চাই না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত শান্ত রাখতে চীনের সহায়তা চেয়েছি। আশা করছি আমরা ইতিবাচক সাড়া পাব। বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ২৪ ডিসেম্বর উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রঙ ও নাম বদল করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রাশিয়ার একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে আসছে বলে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ। পরে বাংলাদেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। তবে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।
এ অবস্থায় জাহাজটি ভারতের যেকোনো বন্দরে পণ্য খালাস করে পরে তা অন্য জাহাজে করে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু জাহাজটি প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়।