বাজারে চিনির সংকটের মধ্যেই আবারও পণ্যটির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরএ)। প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনির এই নতুন দাম আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশনের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরিশোধিত চিনির আন্তর্জাতিক বাজার দর বৃদ্ধি, ডলার বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন ব্যয় বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনাক্রমে আগামী পহেলা ফেব্র“য়ারি থেকে চিনির এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে সরকার প্রথমবারের মতো চিনির দাম বেঁধে দেয়। এরপর আরও দুই দফা দাম বাড়ায় সরকার। সংকট কাটাতে বাজারে চালানো হয় অভিযান। এত কিছুর পরও বাজারে চিনির সংকট কাটেনি। বাজারে নতুন করে আরও চিনির সংকট দেখা দিয়েছে। উধাও হয়ে গেছে প্যাকেটজাত চিনি। খোলা চিনির সরবরাহও সীমিত।

সর্বশেষ গত ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর প্রতি কেজি খোলা চিনির মূল্য ১০২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির মূল্য ১০৮ টাকা বেঁধে দেয় সরকার। এরপর এবার নতুন করে আবার ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে চিনি।