চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দাম বাড়ানো না হলে বাজারে চিনি পাওয়াই যাবে না। সব হিসাব-নিকাশ করে চিনির দাম যতটুকু বাড়ানো দরকার ততটুকু বাড়ানো হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীতে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধি তখনই করা হয় যখন প্রয়োজন হয়। মূল্যায়ন করেই এটা করা হয়। যে দাম হওয়া উচিত বিভিন্ন হিসাব নিকাশ করেই এটা করে। সে হিসাব নিকাশ করেছে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা যদি এড্রেস না করা হয় তাহলে ফলাফল ভিন্ন হবে। বাজারে চিনি পাওয়াই যাবে না। এটা বিবেচনা করেই করে যেটা হওয়া উচিত সেটা করা হয়েছে। আবার যখন কমার প্রয়োজন তখন কমাবে।

মিল থেকে চিনি বের করতে হলে ১৬-১৭ দিন লেগে যায়। আর এর জন্য প্রতিদিন ২/৩ হাজার টাকা করে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা শুনেছি। আমরা চেষ্টা করছি এটা যেন না হয়।

চিনিকলগুলো যখন উৎপাদন সীমিত করে ফেলছে তখন ব্যবসায়ীরা চিনির দাম ইচ্ছা মতো বাড়াচ্ছে এমন কথার পিঠে টিপু মুনশি বলেন, এটা (আপনাদের) ভুল ধারণা। দেশে যে পরিমাণ চিনি উৎপাদন হয় তা মোট প্রয়োজনের ১ শতাংশ। চিনির দামের ক্ষেত্রে এটা কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। দেশে উৎপাদিত চিনির পরিমাণ ৫০ হাজার টন। আমাদের চিনির চাহিদা পূরণ করতে হয় আমদানি করে। গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম বেড়েছে। যার জন্য সমস্যাটা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি যাতে ভ্যাটটা একটু কমিয়ে দেওয়া হয়, যাতে দামে প্রভাব পড়ে।

এলসি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাহাজে যে পণ্য ছিল সেগুলো গত পরশু থেকে খালাস শুরু হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা এলসি খুলে। ব্যাংক তাদের আস্থার ভিত্তিতে পণ্য আমদানিতে এলসি খুলে থাকে। সে আস্থার জায়গা থেকেই ব্যাংকগুলো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের এলসি খুলছে। ছোট গ্র“পগুলোরও ব্যাংক টু গ্রাহকের আস্থার ভিত্তিতে এলসি খুলে থাকে। ব্যাংকগুলোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রমজানের পণ্য যেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খুলে থাকে।