প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে, সেটা প্রমাণ করেছে। ২০১৮ সালের সকল নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করেছে। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে ক্ষমতায় আসেননি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ (বৃহস্পতিবার) নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের রাজউক কমার্শিয়াল প্লট মাঠে পাতাল মেট্রো লাইন নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন শেষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দেশ দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ঢাকার যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে মেট্রোরেল চালু করা। আমরা সেটা করেছি। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাতালরেলের নির্মাণকাজে অন্যান্য পরিষেবায় কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে। নির্বাচনী ইশতাহারে যা আছে তা বাস্তবায়ন করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের উন্নতি হয়। জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেই আমরা ভোট পাচ্ছি। জনগণের জন্য আওয়ামী লীগ কাজ করে বলেই ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সেবা করতে এসেছে। জনগণকে আমরা দিতে এসেছি, এখানে দুর্নীতির বিষয় আসে না। পদ্মা সেতু করে বিশ্বকে দেখিয়েছি বাংলাদেশ পারে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকার কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে। বাংলাদেশের অগ্রগতি আর কেউ থামাতে পারবে না।’

এদিকে, সকাল থেকে সমাবেশস্থলে যোগ দিতে থাকে নারায়ণগঞ্জ ও  আশাপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষ। পুরো শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। আর প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে জনগণের মাঝে কমতি ছিলো না উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার।

নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে রূপগঞ্জ জনতা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাজউকের কমার্শিয়াল প্লট মাঠ।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মেট্রোরেল হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, যা মূলত পাতালরেল। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বাস্তবায়ন হতে চলা প্রায় ২০ কিলোমিটার এই রেলপথ মাটির নিচে নির্মিত হবে।

জানা যায়, দ্বিতীয় মেট্রোরেলের (উড়াল ও পাতাল) দু’টি রুটের মোট দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এটি এমআরটি লাইন-১ হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার পাতালরেল। এই রুটে ১২টি স্টেশন হবে। এগুলো হলো- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।

এছাড়া পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার স্টেশনটি পাতালে নির্মাণ করা হবে। নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত যাবে এই রুট; যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার।