বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটকে ৮ উইকেট আর ২ ওভার হাতে রেখে হারিয়েছে রংপুর। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে করা সিলেট স্টাইকার্সের ১৭০ রান সহজেই পেরিয়ে গেছে রংপুর রাইডার্স। রনি তালুকদার, মোহাম্মদ নাইম ও শোয়েব মালিকের মারকুটে ব্যাটিংয়ের পর হাতে ছিল আরও দুই ওভার।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১৭০ রান করে সিলেট। জবাব দিতে নেমে ১২ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা সিলেটের হয়ে ধীরগতির শুরু করেন দুই ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। হারিস রউফ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ২৬ রান করে এবারের আসরে উড়তে থাকা সিলেট। নবম ওভারে শান্তকে বিদায় করে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ২২ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন শান্ত।

তিনে ব্যাট করতে নামা জাকির হাসানও আজ থিতু হতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৭ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর হৃদয়কে সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম। ছন্দে থাকা হৃদয় ৪৩ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। আর মুশফিকের লেগেছে ২৯ বল। ৫৭ বলে ১১১ রানের দারুণ জুটি গড়ে এই দুইজন দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ।

৫৭ বলে ২ ছক্কা ও ১৩ চারে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকা হৃদয় ৩৭৩ রান নিয়ে এখন বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৩৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৫৫ রান করে। রংপুরের হয়ে উইকেট দুটি নেন মাহেদী হাসান ও রবিউল হক।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকে রংপুর রাইডার্স। দলটির উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ঠিক ১০০ রানে। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মোহাম্মদ ইরফানের বলে ক্যাচ দিয়ে রনি আউট হন।

এর কিছুক্ষণ পর অবশ্য ফেরেন নাঈম শেখও। এই ওপেনার এর আগে ৬ চারে ৩২ বলে করেন ৪৫ রান। রেজাউর রহমান রাজার বলে বোল্ড হন তিনি। রংপুরের হয়ে বাকি কাজ সারেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতানো মালিক অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ৪১ রান করে। সোহানের ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ বলে ১৭ রান। সহজ জয় পায় রংপুর। ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে কুমিল্লা ও বরিশালের সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটের কারণে টেবিলের চারে আছে রংপুর। ১১ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে সবার উপরেই থাকছে সিলেট।