গরীবের পুষ্টি যোগায় ফার্মের মুরগি ও ডিম। তবে সেই ডিম ও মুরগিও তাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, এক মাসের ব্যবধানে হালিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। আর এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির জন্য কেজিতে ১০০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বেড়েছে, অনেক ছোট খামারি খামার বন্ধ করে দিয়েছে।
কম খরচে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের বড় মাধ্যম ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। দফায় দফায় দাম বেড়ে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, যা গত মাসেও ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে ছিল। অর্থাৎ এ সময়ে দাম বেড়েছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা। আর শেষ দফায় গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। তখন দাম ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। এ পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন পর যারা ব্রয়লার মুরগি কিনতে বাজার এসেছেন, তারা পিলে চমকে যাচ্ছে। বিপাকে পড়ছেন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম নিয়েও। কারণ প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজনে। প্রতি হালি ৫০ টাকা, যা আগে ৪৫ টাকা ছিল।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের মতো বাড়তি দেখা গেছে গরুর মাংসের দাম। বেশিরভাগ বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে ৭০০ থেকে ৭২০ টাকায় মিলতো। ক্রমাগত পণ্যের এ মূল্যবৃদ্ধি বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। দোকানে দোকানে দাম নিয়ে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাগবিতণ্ডা। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের ডিমের দাম বাড়ায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা কষ্টে পড়ে গেছেন। বেশকিছু ক্রেতাকে দাম শুনে খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে বিক্রেতারাও মুরগি ও ডিমের দাম দফায় দফায় বাড়ার কোনো সঠিক কারণ বলতে পারছেন না। তবে মুরগির খাবারের দাম বস্তা প্রতি অস্বাভাবিকহারে বাড়ার অভিযোগ ডিম ও মুরগি বিক্রেতাদের। খাদ্যের দামে লাগাম টানা না গেলে দাম বাড়তেই থাকবে বলেও জানান তারা।