মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন আল্পনা আর বর্ণমালায় সেজেছে শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকা। একুশের প্রথম প্রহরে সেখানে ভাষা শহীদদের প্রতি প্রথমে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর শহীদ মিনার খুলে দেয়া হবে সবার জন্য। শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে উঠবে বেদি।

রক্ত বর্ণে সূর্যখচিত এই অবনত শহীদ মিনার বাঙালির চেতনা আর অধিকার আদায়ের বড় অর্জনের স্মৃতির স্মারক। যাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছে এদেশের মানুষ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত গোটা জাতি। রোববার মধ্যরাতে একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠবে শহীদ মিনারের বেদী।

করোনা অতিমারির কারণে গত দুই বছর একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি সরাসরি শ্রদ্ধা জানাতে না পারলেও, এ বছর শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়েছে বেদী। রং তুলিতে আঁকা হয়েছে আল্পনা। বাংলা ভাষার নানা বাণী উৎকীর্ণ আশপাশের দেয়ালে। যেখানে শোভা পাচ্ছে ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা গান, কবিতা ও স্লোগান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় আলপনা পেয়েছে দৃষ্টিনন্দন রূপ।

গত দুই বছর করোনার কারণে শহীদ মিনারে প্রবেশে বিধিনিষেধ থাকলেও এবার থাকছে না। শহীদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে তাই ঢল নামবে মানুষের।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় নিশ্চিত করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। প্রবেশের সময় সবাইকে করা হবে তল্লাশি।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রবেশ করা ও বের হওয়ার পথ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।