অমর একুশে স্মরণে আয়োজিত বাংলা একাডেমির বইমেলা এখন বাঙালির সংস্কৃতিরই অংশ। হয়ে উঠেছে একুশের চেতনার অনুষঙ্গ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলায় প্রবেশ দুয়ার খুলে দেয়া হয় সকালেই।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে অনেকেই যান বইমেলায়। বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করাতে অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে আসেন। এদিন, সিসিমপুরের আয়োজন ছিল শিশুদের বড় আগ্রহের জায়গা।

একুশের বই মেলায় বাবা মায়ের হাত ধরে সাভার থেকে এসেছে ১০ বছরের রাহা ও বাহা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে বইমেলার প্রাঙ্গণে অনেকের মাঝে রয়েছে তারাও। বইমেলায় এসে পছন্দের বইগুলো ঘুরেফিরে দেখে তারা।

ভুতের বই, কৌতুক আর সিসিমপুরের গল্পগুলো শিশুদের পছন্দের শীর্ষে। এদিন সকালে সবচেয়ে বেশি জমে ওঠে শিশু চত্বর।

সিসিমপুরের আয়োজন শুরু হতেই খুশি আর ধরে না শিশুদের। ইকরি, হালুম আর টুকটুকির মজার গল্পে মেতে উঠে শিশুরা। এদিন সিসিমপুরে বাংলা ভাষা সম্পর্কে বেশি গল্প বলা হয়।অধ্যাপক কাজী ফারুকীর একুশের সংলাপ বইটির তৃতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচিত হয়। এসময় বক্তারা বলেন, বইটি দেশের ইতিহাস জানার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকাশকরা জানান, অন্যান্য দিনের চেয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বইয়ের বিক্রি হয় অনেক বেশি। দিনব্যাপী গ্রন্থমেলায় দুপুরের পর লোক সমাগম আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।