নির্বাচন কমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভের মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো গতকাল জানিয়েছিল, ইমরানকে গ্রেপ্তার করার প্রস্তুতি নিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ)। তবে তার আগেই সন্ধ্যার দিকে তাকে জামিন দেন লাহোর হাইকোর্ট।  তেসরা মার্চ পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের সহায়তায় ইমরানকে গ্রেপ্তারে চার সদস্যের একটি দলও গঠন করেছিল এফআইএ। চূড়ান্ত সম্মতির জন্য সংস্থাটির পরিচালককে অবহিতও করা হয়। ইমরানের গ্রেপ্তার ঠেকাতে জামান পার্কের বাইরে অবস্থান নিয়েছিলেন তার দল তেহরিক ই-ইনসাফের অসংখ্য নেতা কর্মী। গত বছরের এপ্রিলে আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এরপর তার সমর্থকরা নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেন। যাকে ‘সহিংস বিক্ষোভ আখ্যা’ দিয়ে ইমরানের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদে মামলা দায়ের করা হয়।

গতকাল তাকে ওই মামলায় হাজিরা দিতে  দুপুর ২টায় লাহোর হাইকোর্টে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি সেখানে সন্ধ্যার পরে যান। ইমরান খানের আইনজীবীরা আদালতকে জানান নিরাপত্তা শঙ্কা এবং জামান পার্কে অসংখ্য নেতা কর্মী  হাজির হওয়ায় তিনি  যেতে পারেননি।

লাহোর হাইকোর্টের বিচারক তারিক সেলিম জানান, ইমরানের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করা হবে। তবে আইনজীবীরা এটি না করতে অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে রাত ৮টার দিকে ইমরান খান আদালতে উপস্থিত হন।

তিনি আরও জানান, বাইরে অত্যাধিক ভিড়ের কারণে সময়মতো উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। আদালতের সামনে যুক্তি উপস্থাপনের পর ইমরানের জামিন মঞ্জুর করা হয়।