বিশ্বকাপের দল ঘোষণার জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও শেষ হবে সেদিনই। তাই পুরো সিরিজ দেখে দল ঘোষণা করা সম্ভব হবে না। ফলে প্রথম তিন ম্যাচ শেষেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করার ইচ্ছা নির্বাচকদের। এমনটাই জানিয়েছে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

বিশ্বকাপেরা দল ঘোষণা প্রসঙ্গে নান্নু বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে ডেডলাইন। সিরিজের মাঝখানেই আমরা দল দিয়ে দিবো। তখন তিনটা ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে। খেলোয়াড়রা জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢোকার আগেই আমরা টিম ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কের সঙ্গে আলাপ করে নিবো।’

ঠিক কেমন দল হবে, এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ওদের চাহিদাও দেখতে হবে। বিশ্বকাপের উইকেট, কন্ডিশন জেনে-বুঝে দল দেওয়া হবে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক দলে ১৫ জন ক্রিকেটার ও ৮ জন সাপোর্ট স্টাফ রাখার অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। বাড়তি কোনও ক্রিকেটারকে নিজ খরচে রাখতে হবে। অন্য দেশগুলো করোনা পরিস্থিতির কারণে বাড়তি ক্রিকেটার যুক্ত করে দল ঘোষণা করেছে। টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশও সেই পথেই হাঁটবে।

নান্নুর ভাষায়, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট যেমন চায়, আমরা সেরকম কিছুই করবো। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সভায় এটা নিয়েও আলোচনা হবে। বোর্ডের সিদ্ধান্তেরও ব্যাপার আছে, যেহেতু খরচ নিজেদের। তবে বাড়তি তো সম্ভবত রাখতে হবেই এই পরিস্থিতিতে।’

১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দল ঘোষণা করার নিয়ম থাকলেও দলগুলোর কোয়ারেন্টিন শুরুর পাঁচ দিন আগপর্যন্ত স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে পারবে। সেক্ষেত্রে কারণ অবশ্যই থাকতে হবে ইনজুরি।