ফুলেল শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর চোখের জ্বলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা সদস্যদের স্মরণ করছে স্বজন-সহকর্মীরা। আজ (শনিবার) রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানান তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এসময় স্বজন হারানো শোকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকেই। ১৪ বছরে চূড়ান্ত বিচার না হওয়ায় আক্ষেপও ছিলো স্বজনদের কণ্ঠে।
১৪ বছর আগে ঢাকায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে। শোক ও কষ্ট বুকে চেপে বনানী কবরস্থানে আসেন শহীদ সেনা সদস্যদের স্বজন ও সহকর্মীরা।
বনানী সামরিক কবরস্থানে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পরে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
পরে, তিন বাহিনীর প্রধান ও বিজিবি মহাপরিচালক ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
প্রিয় স্বজনের কবর জিয়ারত করতে আসেন পরিবারের সদস্যরা। চোখের জল আর ফুলের শ্রদ্ধায় তারা স্মরণ করেন শহীদদের। অশ্র“সিক্ত স্বজনরা তাদের শহীদ প্রিয়জনের আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ না হওয়ায় আক্ষেপও ছিলো স্বজনদের।
শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাজনৈতিক নেতারাও। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করার দাবি জানান তারা।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারাও শ্রদ্ধা জানান শহীদদের কবরে। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরাই পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর মনোবল ধ্বংস করতে বিডিআর বিদ্রোহের মত চক্রান্ত হয়েছিলো।
শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান রাজনৈতিক নেতারা।