ভারত থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল আমদানি করায়, অর্থ এবং সময় বাঁচবে বলে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ (শুক্রবার) দুপুরে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন রিসিভ টার্মিনাল’ পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে জাহাজে জ¦ালানি তেল আমদানিতে অনেক খরচ ও সময় লাগতো। এই সমস্যা নিরসনে ভারতের সহযোগিতায় পাইল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রতি ব্যারেল ডিজেল আমদানিতে ৬ মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে বলে জানান তিনি। সেই সাথে উত্তরাঞ্চলে একটি ‘জ¦ালানি নিরাপত্তা বলয়’ তৈরি হবে বলে আশা নসরুল হামিদের।
চলতি মাসের ১৮ই মার্চ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তেল আনার এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সরবরাহ শুরু হলে দীর্ঘদিনের জ্বালানি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। একে যুগান্তকারী স্বপ্নের বাস্তবায়ন উলেখ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনে বছরে ভারত থেকে আসবে ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল।
এছাড়া এ পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল আমদানিতে ব্যারেল প্রতি ৫ দশমিক ৫০ ডলার খরচ হবে বলেও জানান তিনি। আগে চট্টগ্রাম-খুলনা বন্দর থেকে সড়কপথে তেল আনতে প্রতি ব্যারেলে ব্যয় হতো প্রায় ১১ ডলার।
স্থানীয়রা জানান, আমদানি শুরু এলাকার তেল সরবরাহ ভালো থাকবে। এছাড়া কৃষিখাতেও বিপ্লব ঘটবে বলে জানান তারা।
ভারতের শিলিগুড়ি নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) ও বাংলাদেশ মেঘনা পেট্রোলিয়ম লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে পঞ্চগড় ও নীলফামারী হয়ে ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন দিয়ে সরাসরি পার্বতীপুরের রেলহেড ডিপোতে আসবে ডিজেল।