তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারেরা ইসলাম রক্ষার নামে মানুষের ঘরবাড়ি লুট, মানুষ হত্যা, দেশের জনপদের পর জনপদ জ্বালিয়ে দিয়েছিল। বর্তমানে যারা পঞ্চগড়ে হামলা করেছে তারাও রাজাকারের উত্তরসূরি, এজিদের বংশধর। আজ (রোববার) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইসলাম রক্ষার নামে যুদ্ধের সময় রাজাকারেরা মানুষের ঘরবাড়ি লুট, অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যায় মেতে ওঠে। একইভাবে পঞ্চগড়েও হামলার ঘটনা ঘটেছে। যারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত তারা রাজাকারের উত্তরসূরি, এজিদের বংশধর। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
এসময় তিনি বলেন, সরকারকে ফেলে দিতে গিয়ে ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা রশি ছিঁড়ে পড়ে তাদের কোমড় ভেঙ্গে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। পাকিস্তান, ভারত আমাদের চেয়ে মাথাপিছু আয়ে পিছিয়ে আছে’।
মন্ত্রী বলেন ‘বিএনপি দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলা করা হয়েছে। বিএনপির সাবেক এমপি রুমিন ফারহানা ও হারুনের ফেসবুক পেজ থেকে পোষ্ট করা হয়েছে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের উপর হামলা করতে। এটাই প্রমাণ করে বিএনপি দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে’।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পুলিশ ফুটেজ দেখে জড়িতদের ধরছে। আমরা তাদের বলেছি অযথা নিরীহ কাউকে হয়রানি না করতে। এসময় বিএনপির বিশৃংখলা থেকে দেশকে রক্ষা করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাবধান থাকার আহ্বান জানান।
শান্তি সমাবেশে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পঞ্চগড়-২ আসনের সাংসদ রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট প্রমুখ।