ডলারের মূল্য বৃদ্ধিসহ বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে হজের বিমান ভাড়া কমানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম। আজ (রোববার) বিকেল সাড়ে ৩টায় কুর্মিটোলায় বলাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

এসময় শফিউল আজিম বলেন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধিসহ বৈশ্বিক অবস্থার কারণে এভিয়েশন সেক্টরে ৪০ শতাংশ খরচ বেড়ে গেছে। ভ্যাট, ট্যাক্সসহ হজের জন্য বর্তমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। হজ অপারেশনের জন্য পাইলট, ক্ররু, প্রকৌশলী নিয়োগসহ সাতটি বিষয়ে সংযোজন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ কারণে হজের বিমান ভাড়া কমানো সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এবার বিমানের হজ ফ্লাইট ভাড়াও প্রায় ৪২ হাজার টাকার মতো বৃদ্ধি করে ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিমানের সিইও আরো বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এখনও হজ প্যাকেজে বিমান ভাড়ার বিষয়টি প্রকাশ করেনি। তারা প্রকাশ করলে হয়তো পার্থক্য দেখা যাবে না। তিনি বলেন, নিউইয়র্কের ফ্লাইট চালু করার জন্য প্রক্রিয়া চলমান। খুব শিগগিরই ভারতের চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুতে ফ্লাইট চালু করা হবে।

বিমানে যেসব অনিয়ম ছিল সেগুলো তদন্ত চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। শফিউল আজিম বলেন, ‘অনেক বিষয়ে পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শেষ তিন মাসে ৫০টি অভিযোগ এসেছে, ১৮টির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, বাকিগুলা তদন্তাধীন রয়েছে’।