পটুয়াখালীর বাউফলে সিনিয়র ও জুনিয়র দ্বন্দ্বে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছুরিকাঘাতে দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আদরের সন্তান হারিয়ে শোকে স্তব্ধ পরিবারের সদস্য ও বন্ধুসহপাঠীরা। হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। ময়না তদন্ত শেষে দেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে দেয়া হবে।
এসএসসি পরীক্ষা আর দেয়া হলো না বাউফলের ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী নাফিজ ও মারুফের। বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় নবম ও দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের পায়ে পা লাগাকে কেন্দ্র করে একে অপরকে চর থাপ্পড় মারে। এর জেরে স্কুল ছুটির পর স্কুল সংলগ্ন ব্রীজের কাছে ৯ম শ্রেণির রায়হানসহ বেশ কয়েকজন ১০ম শ্রেণীর মারুফ, সিয়াম এবং নাফিসকে বাড়ি ফেরার পথে ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাফিজ ও মারুফের মৃত্যু হয়।
শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে খোদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান।
সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধস্বজনেরা। খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি সকলের।
শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানালেন বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন।