প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সোনার বাংলা গড়ার পথে রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া এখন অন্যতম অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৬ মার্চ) ভোরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার শত্রুরা সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদের মতো নানান পোশাকে স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করে। তাই এই অপশক্তিকে পরাস্ত করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের দাবি আওয়ামী লীগের ভুলের জন্য গণহত্যা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাকিস্তান যা বলে তারা (বিএনপি) তাই বলে। কারণ তারা পাকিস্তানি ভাবধারায় উজ্জীবিত, তাদের হৃদয়ে পাকিস্তানি চেতনা। তারা এমনটাই বলবে এটাই হওয়া সমীচীন।
এর আগে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কয়েক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয় এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায়।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুনরায় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তার পাশে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদসহ আরও অনেকে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার পরে সর্বস্তরে মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এরপর থেকেই থেকেই সেখানে সর্বস্তরের জনতার ভিড় জমে। ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ জনতা।