ঢাকা টেস্ট ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। একমাত্র ম্যাচ হওয়ায় ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি পর টেস্ট সিরিজও গেছে বাংলাদেশের দখলে, মানে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ হয়েছে আইরিশরা।
অতীত সমীকরণ দেখলে সবশেষ পাঁচ টেস্টের সবকটিতেই হেরেছে সাকিব-মুশফিকরা। তবে সেই হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগাররা। এছাড়া এই জয়ের ফলে ১৫ মাস পর জয়ের দেখা পেলো সাকিব-তামিমরা।
প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন বিকেলের সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে আইরিশ ব্যাটাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করে আয়ারল্যান্ড। তবে লরকান টাকারের সেঞ্চুরিতে ফলোঅন এড়ায় আইরিশরা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রানে অলআউট হলে ১৩৮ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।
আজ (৭ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে আইরিশদের দেওয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ফিফটিতে ২৭ ওভার ১ বল খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৩৬৯ রান। আয়ারল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ২১৪ রান, আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রানে থেমেছিল আইরিশরা।
চতুর্থ দিনের শুরুতেই আইরিশদের ২ উইকেট দ্রুত তুলে নেন পেসার এবাদত হোসেন। ফলে সফরকারীদের মাত্র ১৩৭ রানের লিডে আটকে ফেলে বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়া করতে ওপেনিংয়ে তামিমকে সঙ্গী হয়ে মাঠে নামেন লিটন।
লোয়ার অর্ডার থেমে ওপেনিংয়ে প্রমোশন পেয়ে শুরু থেকেই আক্রমণ চালান লিটন। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে লিটনের ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কার ইনিংস ২৩ রানে থেমে যায়। তাকে অদ্ভুত এক বাউন্সারে বোল্ড করে ফেরান পেসার মার্ক এডেয়ার।
নাজমুল শান্তও রানে ফিরতে না পেরে ম্যাকব্রাইনের বলে মাত্র ৪ রান করে স্লিপে ধরা পড়েন। প্রথম ইনিংসে গোল্ডেন ডাক মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার তামিম। এ জুটিতে ৬২ রান সংগ্রহ করেন টাইগাররা।
তবে দলীয় ১০৫ রানে আউট হন তামিম। ৬৫ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফিরেন এই ওপেনার। তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুমিনুল হক। মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। ৪৭ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন মুশফিক। অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। ফলে আইরিশদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৭ উইকেটের জয় পেলো সাকিব-তামিমরা। আর এতে ১৫ মাস পর টেস্টের জয়ের শুভাস পেলো টাইগাররা।