খাদ্যদ্রব্য অবৈধ মজুতের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ (সোমবার) জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে আইনের খসড়াটি অনুমোদন হয়।

বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এতথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এসময় তিনি বলেন, ‘এই আইনে বাজারে অনিরাপদ বা ভেজাল খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করলে দুই বছর থেকে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। এই আইন কেউ লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি হবে ভ্রাম্যমাণ এবং নিরাপদ খাদ্য আদালতে। আর অধিক মুনাফার আশায় খাদ্য মজুত করলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন

তিনি আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্যে অস্বাভাবিক কোনও কিছু মেশানো, কৃত্রিম সংকটের জন্য মজুত করা, বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কম দেওয়া হলে সব অপরাধের জন্য একই রকম শাস্তি দেওয়া হবে। এর আগে গতবছর ১৯শে এপ্রিল আইনটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করলে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

আইনের খসড়ার কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে সচিব আরও বলেন, কেউ আইন লঙ্ঘন করে খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে আদালতকে। এছাড়াও আইনে দানাদার খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনে অনিয়ম করলে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধানের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।