ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে দেশজুড়ে পালিত হলো রোজার মাসে মুসলমানদের বিশেষ ইবাদতের রজনী ‘পবিত্র লাইলাতুল কদর’। নিজেদের গুনাহ মাফের আশায় মসজিদ ও বাসায় রাতভর নফল নামাজ, কোরআন তেলোয়াত, জিকির-আজকারসহ নানা ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে কাটিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলি­রা। হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এই রজনীতে অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। পাশাপাশি মসজিদে-মসজিদে বাংলাদেশসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহ’র কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’ হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রজনী। এই রজনীতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর ওপর নাজিল হয়েছিল পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। মহিমান্বিত এই রাত মুসলমানের জন্য আল্লাহর দেওয়া সেরা নেয়ামত। ২৬ রোজা শেষে মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে দলে দলে আসতে থাকেন মুসলি­রা।

জামাতে তারাবির নামাজ আদায় শেষে রাতভর নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলোয়াতসহ নানা ইবাদত বন্দেগীতে কাটান তারা। নিজেদের গুনাহ মাফ ও মনোবাসনা পূরণের পাশাপাশি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। পবিত্র এ রাতে অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।

গরীবদের জন্য করেন দান-সদকা। কেউ কেউ বাসাবাড়িতে সারারাত জেগে ইবাদত করেছেন। ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় ও একসঙ্গে মোনাজাতে অংশগ্রহণ শেষে ঘরে ফেরেন মুসলি­রা।

ফজিলতপূর্ণ এই রাতের তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি মুসলি­দের বেশি বেশি ইবাদত করার পরামর্শ দেন খতিবরা। পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বুধবার সরকারি ছুটি। এর সাথে আরো চারদিনের ছুটি মিলে শুরু হয়েছে ঈদ উপলক্ষে টানা ৫দিনের ছুটি।