ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের আসন্ন আসর বসতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনায়। আগামী ২০ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত চলবে এবারের আসর।
এর আগে, ফিফার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে শনিবার (২২ এপ্রিল) বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে আয়োজক আর্জেন্টিনা। আকাশী-নীল জার্সিধারীদের যুবাদের অন্য তিন প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, গুয়েতমালা ও নিউজিল্যান্ড।
এদিকে লাতিন আমেরিকার আরেক শক্তিশালী দল ব্রাজিল ‘ডি’ গ্রুপে পড়েছে। এই গ্রুপে তাদের সঙ্গে আরও রয়েছে ইতালি, নাইজেরিয়া ও ডমিনিকান রিপাবলিক।
এবার ছয় গ্রুপে ২৪টি দল মাঠে নামছে। ‘ই’ গ্রুপে রয়েছে আরেক শক্তিশালী দল উরুগুয়ে। ‘এফ’ গ্রুপে রয়েছে ফ্রান্স।
যদিও ইন্দোনেশিয়ায় হওয়ার কথা ছিল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপের। কিন্তু দেশটিতে অংশগ্রহণে বেশ কিছু অস্থিরতা দেখা দেয়। এই কারণে ইন্দোনেশিয়া থেকে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ সরিয়ে দেওয়ার কথা জানায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
এর পরপরই এই টুর্নামেন্ট এককভাবে আয়োজনের জন্য আবেদন করে আসরে বাছাই পর্বের গণ্ডি পার হতে না পারা আর্জেন্টিনা। পরে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) আয়োজক হিসেবে লাতিন আমেরিকার দেশটিরই নাম ঘোষণা করেছে ফিফা।
সে সময় এক বিবৃতিতে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানান, ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে এই বছরের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত হবে। ফুটবল বিশ্বের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ভবিষ্যতের সুপারস্টারদের জন্য তাদের দুয়ার খুলে দিয়েছে।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জানান, আমি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এবং বিশেষ করে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ক্লাদিও তাপিয়াকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, সেই সঙ্গে সরকারি কর্তৃপক্ষকেও, এত অল্প সময়ের নোটিশে এই দুর্দান্ত টুর্নামেন্টটি আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য।
এই টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে ব্রাজিল, উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডর মূলপর্বে উঠেছে।
উল্লেখ্য, বালি দ্বীপের গভর্নর ইসরায়েল দলকে আয়োজক করতে অস্বীকার করার কারণে দেশটির সকার ফেডারেশন (পিএসএসআই) ড্র বাতিল করার পরে ফিফা ইন্দোনেশিয়াকে ইভেন্টের আয়োজন করা থেকে বিরত রাখে।