শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কীর্তিনাশা নদীতে গোসলে নেমে পৃথক ঘটনায় চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬শে এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার রাজনগর ও মুক্তারেরচরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুরা হলেন, মৌ আক্তার (১৩), সূচনা আক্তার (১৩), তানিশা (৭) ও সুরাইয়া আক্তার (৭)।

আজ বুধবার দুপুরে কীর্তিনাশা নদীতে গোসল করতে নামে মৌ ও সূচনা। এসময় হঠাৎ তারা পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে মৌ এবং সূচনাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

আফরিন নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কাজীকান্দি গ্রামের কামরুজ্জামান কাজীর মেয়ে। সূচনা আক্তারের চর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরকান্দী গ্রামের শওকত খানের মেয়ে।

জানা গেছে, আফরিনের বাবা গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং সূচনার বাবার একই জেলায় ফার্মেসির দোকান ছিল। দুজনের পরিবার একই এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত এবং তারা ওখানেই পড়াশোনা করত।

সূচনার মামা ও আফরিনের ফুপাতো ভাই মো. আল আমিন দেওয়ান জানান, সূচনা এক মাস আগে গাজীপুর থেকে তার মা-বাবার সঙ্গে গ্রামের বাড়ি আসে। তারা গ্রামের বাড়িতে নতুন ঘর নির্মাণের কারণে ২০-২৫ দিন ধরে শাওড়া গ্রামে নানা নূর মোহাম্মদ দেওয়ানের বাড়িতে ছিলেন। আফরিনের পরিবার ঈদের দুই দিন আগে গ্রামের বাড়ি আসে। ঈদের এক দিন পর আফরিন তার ফুপার বাড়ি শাওড়া গ্রামে বেড়াতে যায়।

সূচনা ও আফরিন কয়েকজন সমবয়সীর সঙ্গে আজ দুপুরে বাড়ির পাশের কীর্তিনাশা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল। তারা সাঁতার জানত না। এ সময় তারা পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সূচনা ও আফরিনকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আজ সন্ধ্যার পরে নিজদের বাড়িতে তাদের দাফন করা হয় বলে আল আমিন দেওয়ান জানান।

অন্যদিকে, মুক্তারেরচর ইউনিয়নে খালার বাসায় বেড়াতে এসে  কীর্তিনাশা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যায় তানিশা ও সুরাইয়া। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে  চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তানিসা ও সুরাইয়া সম্পর্কে খালাতো বোন ।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।